খেলাধুলা:কাতার বিশ্বকাপ শুরুর আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, বিশ্ব আসরে এটাই তার শেষ। অনেকে তো ধরেই নিয়েছিলেন, বিশ্বকাপের ট্রফি জিতেই অবসরের ঘোষণা দেবেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। তবে শিরোপা জিতে লিওনেল মেসি জানিয়েছিলেন, বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিসেবে খেলতে চান তিনি।
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের পর চিত্রপট পাল্টেছে। দলের সবাই এখন মেসিকে পরের বিশ্বকাপেও পেতে মরিয়া। তাই আলোচনাটা জোরেশোরে উঠেছে আরও একবার। তবে রহস্য নিজেই ভেঙে দিলেন মেসি। গত বুধবার (১৪ জুন) নিশ্চিত করলেন, পরের বিশ্বকাপে থাকছেন না তিনি।
বাস্তব চিত্রটা আসলে মেসির এই বক্তব্যকে ভালোভাবেই সমর্থন করে। দলে যথেষ্ট তরুণ তারকা থাকার পরেও ৩৯ বছর বয়সে মেসির বিশ্বকাপে অংশ নেয়াটাই বরং অস্বাভাবিক লাগতো। এরপরও নামটা যেহেতু মেসি, তাই তার না খেলা নিয়ে ভক্তদের মধ্যে আফসোস, আক্ষেপ জাগাটাই স্বাভাবিক। আর বেইজিংয়ে প্রীতি ম্যাচে চিরচেনা মেসিকে দেখার পর সেই আক্ষেপ বাড়ার কথা বহুগুণ। মেসিও হয়তো সেই সব ভক্তের জন্যই ব্যাখ্যা দিয়েছেন, কেন তিনি ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন না।
বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে দুর্দান্ত এক গোল করেছেন মেসি। দলকে জিতিয়েছেন ২-০ গোলে। এই ম্যাচ শেষে আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টসের সঙ্গে কথা বলেন মেসি। এসময় আগামী বিশ্বকাপ নিয়ে পরিকল্পনার কথা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপ নিয়ে যা বলেছি, সেটাই স্বাভাবিক। বয়স এবং সময়ের কারণে বিশ্বকাপ খেলাটা কঠিন হবে।’
আগামী বিশ্বকাপ এখন থেকে তিন বছরের দূরত্বে। বিশ্ব আসরের আগে অনেকগুলো টুর্নামেন্টে অংশ নেবে আর্জেন্টিনা। আপাতত সেসব নিয়েই ভাবছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক, ‘প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি দিন আমি উপভোগ করছি। এরপর বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব ও কোপা আমেরিকা আছে। চিন্তা করার জন্য বিশ্বকাপ অনেক দূরের বিষয়। নতুন একটা চক্র শুরু হবে, বাছাইপর্বের ম্যাচ সামনে। যা অর্জন করেছি, তা নিয়ে বসে থাকলে হবে না। সামনে কী আসছে, তা নিয়েও ভাবতে হবে।’
এশিয়া সফরে আর্জেন্টিনার পরের ম্যাচ ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে। সে ম্যাচে অবশ্য মেসিকে পাবে না আলবিসেলেস্তিরা। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য ছুটি নিয়েছেন তিনি।